দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিতকাউন্সিলর পদে আগামীকাল শনিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আগামীকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় এই ৬০ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এসব পৌরসভার প্রায় অর্ধেক এলাকায় ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হবে।ভোটের আগের দিন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, করোনাকালীন সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ূনঃ ফাঁসির দুই আসামির মুক্তি চাইল আওয়ামী লীগ, নিন্দা
প্রস্তুতিও শেষ। পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন থাকবে। তিনি জানান, কিছু এলাকায় ইভিএমে ভোট হবে, তাতে মক ভোটিংও হয়েছে। কিছু এলাকায় ব্যালটে ভোট হবে। সেখানেও প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পৌর ভোটের তিন সহস্রাধিক প্রার্থী ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন। এর মধ্যে দু-একটি স্থানে সংঘাত-সহিংসতা ঘটলেও তাতে ভোটারদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান অশোক কুমার।
এদিকে ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্ম-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুতে নীলফামারী সৈয়দপুর পৌরসভার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ভোটের মূল লড়াইটা হবে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে। তবে সব মিলিয়ে এবার ৯টি দলের প্রার্থী ভোটে লড়ছেন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও সেই ৯ দলে আছে জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে দেশের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা দেখা গেছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রার্থী ও আরেক প্রার্থীর ভাই নিহত হয়েছেন। এছাড়া এবারের পৌর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর আধিক্যও ভোটের মাঠে বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ৬০টি পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলিয়ে ৩ পদে প্রার্থী রয়েছেন ৩২৮৬ জন।
এর মধ্যে মেয়র পদে ২২১, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৪৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। ১০৮০টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৬৫০৮টি। মোট ভোটার ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন। তাতে পুরুষ ১১,০৮,৪৩১ এবং নারী ১১,৩১,৮৩১ জন। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুশৃঙ্খলভাবে ভোট অনুষ্ঠানে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে বিজিবি, পুলিশ, আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল টিম টহল দেবে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। তবে সার্বিকভাবে পৌর ভোটের পরিবেশ এখনও ভালো রয়েছে বলে দাবি ইসির।