বিশেষ প্রতিবেদন: সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বানিজ্য বৃদ্দি পাওেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারষ্পরিক সম্পর্কও বৃদ্দি হচ্ছে। আর এই বিষয়টা ভারতের জন্য মাথাব্যাথার কারণ। তাহলে কি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভাটার দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তিস্তা চুক্তি হয়নি, এনআরসি এবং সিএএ’র মতো বিষয়গুলো তো আছেই। সবমিলিয়ে ভারতর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক যাচ্ছে এ বিষয়ে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন দেয়ার সক্ষমতাই ভারতের নেই। চীন যেখানে অর্তনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার দিকে আগাচ্ছে। সেখানে এনআরসি বা সিএএ,ও মতো বিষয়গুলো নিয়ে ভারতীয় নেতারা বাংলাদেশকে ‘খয়রাতি’ বলার মতো শব্দ ব্যবহার করেছেন যা ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। তাই ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের আচমকা বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লি এই বার্তা দিতে চাইছে যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আগের মতোই আছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে যে অর্থনৈতিক সুবিধা দেবে তার সঙ্গেই বানিজ্যে যুক্ত হবে এটাই প্রকৃত কূটনীতি। কেউ যুযোগ হাতছাড়া করলে আরেকজন সেই সুযোগ কাজে লাগাবে। যেমন ভারত বাংলাদেশের পানি আটকে রেখেছে। তাই বর্ষাকালে বাংলাদেশে পানি সংরক্ষণে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন।
ফলে ভারতের দূর্বলতার কারণেই বাংলাদেশে চীনের অংশগ্রহণ বেড়েই চলেছে। এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার আর এই বিনিয়োগ চীন করবে বাংলাদেশে তার অথ্যনৈতি আধিপত্য বিস্তারের জন্য। এই দিক দিয়ে চীন ভারতের থেকে এগিয়ে। সুতরাং দিন যাবে আর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘনিষ্ট হবে।