বিশেষ প্রতিবেদন: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ অবদান। সেই থেকে শুরু পথ চলা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে গঙ্গা চুক্তি, ২০০৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি। ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি এবং ভারত বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানে সম্মত হওয়া।
এছাড়া ২০১১ সালে বহুল আলোচিত ৩ বিঘা করিডোর চুক্তি। ২০১৩ সালে ৩৫ বছর মেয়াদি ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির চুক্তি এবং ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি হয় বাংলাদেশের সঙ্গে। এসব থেকেই বোঝা যায় ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক কত গভীরে।
এছাড়া বিশ্লেষকদের মতে গত এক দশকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে। তাহলে সম্পর্কের এই পর্যায়ে এসে নতুন করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়টা সামনে আসছে কেন? নাকি বোহিঙ্গা ইস্যূতে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান না নেয়ার কারনে এমন প্রশ্ন উঠছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, রোহিঙ্গা ইসূতে চীন অসহযোগীতা করলে আরো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাঠাবে মায়ানমার। এতে করে রোহিঙ্গা সমস্যা আরো বড় আকার ধারণ করবে। এমনিতেই বাংলাদেশ ১০ লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে সমস্যায়েআছে। সুতরাং ভারত নয় চীনই পারে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে।
এখন বাংলাদেশের উচিত হবে চীন এবং ভারতের সঙ্গে সমানভাবে ব্যালেন্স করে এই দুৃইটা দেশকে দিয়ে মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়। এছাড়া ভারত-চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে যদি বিশ্বাব্যাপী বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয় তাহলে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জনমত গড়ে উঠবে এবং মিয়ানমার আরো বেশি চাপে পড়বে। সুতরাং একন চীন-ভারতকে সঙ্গে নিয়েই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।